BANNER CREDITS: RITUPARNA CHATTERJEE
A woman with the potential to make it big. It is not that she cannot: she simply will not.
PHOTO CREDITS: ANIESHA BRAHMA
The closest anyone has come to being an adopted daughter.

Thursday, July 28, 2016

অন্য পুরুষ

'বর্ণদূত', দ্বিতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় সংখ্যা (১২ই আষাঢ় ১৪২৩)
অমাবস্যার রাত। শীতের রাত। হিমালয়ের ফাঁকফোকর দিয়ে আসা হাড়কাঁপানো হাওয়ার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া দায়।

যুদ্ধক্ষেত্রে দৈনিক বরাদ্দ দু’মুঠো আটা; তাতে পেট ভরলেও মন ভরে না। কোনও কোনও রাত্রে পেটও ভরে না। কোনওমতে চারটে রুটি সেঁকে যেটুকু পেট ভরানো যায় আর কী।

তবে ঐ... গনগনে আগুনের আঁচে ঝলসানো রুটি... ভোরের আগে নিভন্ত আগুনের ওমের আরাম... আর ক্লান্ত মুখগুলোয় আগুনের লালচে ছায়া... সব মিলে কোথাও একটা ভাল লাগা লুকিয়ে থাকে।

নীলচে আগুনের শিখায় সেনজিৎ রোজ রাতে বেদবতীর মুখ দেখতে পায়।

বেদবতীর চোখের আগুন আছে, আছে বিদ্যুৎ। আর চোখের পাতায় আছে ঘুম। বেদবতীর চোখ সহ্য করতে পারে না সেনজিৎ, খড়কুটো যা পায় আগুনে ছুঁড়ে দেয়, যাতে আরও দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে, বেদবতীর চোখ গিলে নেয় চিরতরে

একাকিনী গৃহবধূর বিষণ্ণ চোখ মিলিয়ে যায় ঘুমের দেশে। মিলিয়ে যায় বিদ্যুৎ, মিলিয়ে যায় আশ্রয়, মিলিয়ে যায় আঁচল। পরের রাত্রে যাওয়ার আশ্বাসটুকু দেওয়ার সময় পায় না।

কিন্তু সে আসে, রোজ, ফিরে ফিরে আসে, দু’চোখের নাগপাশে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরতে চায় সেনজিৎকে

মুক্তি নেই।

***

সেনজিতের দেশ নেই। রাজা বলতে প্রাগ্‌জ্যোতিষপুরের ভগদত্ত। কার ঔরসে, কার গর্ভে, কোথায় তার জন্ম, ইতিহাস সে হিসেব রাখেনি।

না, জীবন তাকে একেবারে নিঃস্ব করেনি। সব কেড়ে নিয়েও তার হাতে তুলে দিয়েছিল অসিচর্ম। মগধ কাশী কোশল চেদি কলিঙ্গে অর্থের বিনিময়ে যুদ্ধ করত সেনজিৎ

শত্রুর বুকে তলোয়ার বসিয়ে ফিনকি দিয়ে ওঠা রক্ত দেখে তার মনে জাগত পাশবিক উল্লাস।

কিশোরীর অসহায়তায় উচ্ছ্বসিত হত সেনজিৎ। চরম মুহূর্তে বারবার কোমল শরীরে ছুরি বসিয়ে ছিন্নভিন্ন করত সে

রক্তের উষ্ণতা ছাড়া পূর্ণতা পেত না তার যুদ্ধ, তার রমণ।

স্বর্ণমুদ্রার ঔদ্ধত্যে, অস্ত্রের ঝনকে তার নির্মম আত্মবিশ্বাস ছিল গগনচুম্বী।

কীসের রাগ সেনজিতের, সে নিজেও জানত না।

তারপর সে এল প্রাগ্‌জ্যোতিষপুরে। আর চিনল বেদবতীকে। চিনল তার চোখ।

জীবনে প্রথম সে নতজানু হল, আত্মসমর্পণ করল, কারণ সেই চোখে ছিল আগুন, ছিল বিদ্যুৎ, ছিল বৃষ্টি, ছিল শান্তি, ছিল আশ্রয়, ছিল জীবন, ছিল মৃত্যু।

তারপর কয়েকমাস স্বপ্ন দেখেছিল সেনজিৎ। তারপর তলব এল।

অনেক বারণ করেছিল বেদবতী। শোনেনি সেনজিৎ।

মহারাজ ভগদত্ত হয়ত কিছু বলতেন না। কিন্তু আসমুদ্রহিমাচল যখন কুরুপাণ্ডবের যুদ্ধে সাড়া দিয়েছে, সে কীভাবে রমণীর আঁচলের আড়ালে লুকিয়ে থাকবে?

চোখের আকর্ষণ যতই তীব্র হোক্‌, শতসহস্র বছরে পুরুষের শিরায়-ধমনীতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া যুদ্ধতৃষ্ণার টানে সাড়া না দিয়ে সে থাকবে কীভাবে?

আর তাই, আজ, আগুনের লেলিহান, অবুঝ শিখায় বেদবতীর নিঃশব্দ প্রতিশোধ। প্রতিনিয়ত।

***

কুরুক্ষেত্র থেকে হস্তিনাপুরের দূরত্ব কম নয়, তবে অনতিক্রম্যও নয়। যুদ্ধক্ষেত্রের নিভন্ত আগুনের স্পর্শ নিয়ে রাজপ্রাসাদে ঢুকল ভোরের হাওয়া

রাত্রি দুই প্রহর। সজাগ প্রহরীর উদ্যত ভল্ল এড়িয়ে প্রদীপের কম্পনরত শিখায় ঠোঁট ছোঁয়ায়

ধৃতরাষ্ট্রের ঘুম আসেনি সে রাত্রে। দিনের পর দিন সঞ্জয়ের মুখে ধারাবিবরণীতে অসহায় ধৃতরাষ্ট্র আঁকড়ে ধরতে চাইছিলেন গান্ধারীকে, বা কোনও নারীদেহঅন্ততঃ আজ রাত্রে।

গান্ধারী নিদ্রিত ছিলেন। পট্টবস্ত্রে ঢাকা চোখ কখন মুদ্রিত হয়, পৃথিবী জানতে পারে না। ধৃতরাষ্ট্রও না।

স্বপ্ন দেখছিলেন গান্ধারী। যুদ্ধক্ষেত্রের স্বপ্ন। সৈন্যশিবিরের স্বপ্ন। নিষ্ঠুর রাত্রির স্বপ্ন। ক্লান্ত পুরুষদেহের স্বপ্ন।

তখনই দেখলেন সেনজিৎকে। দেখলেন চোখ, তার দৃষ্টি, অনুভব করলেন তার দু’চোখের ক্ষুধা।

পুরুষের লুব্ধ, কামাতুর দৃষ্টিতে অভ্যস্ত নন গান্ধারী। এ অনভ্যাসের সিদ্ধান্ত তাঁর নিজের।

কিন্তু স্বপ্ন না দেখার প্রতিজ্ঞা তিনি, তাঁর শরীর করেনি।

অস্বস্তি... চাপা... ছটফটানি...

কাতর, অস্ফূট, মূক শীৎকার...

কোথায় তুমি, সৈনিক? তুমি তো অন্ধ নও!

শরীর...

কোথায় তুমি, সৈনিক?

আগুন নিভে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেদবতীর চোখও গেছে হারিয়ে

তলিয়ে যেতে থাকলেন গান্ধারী, আগুনের নিচে, একদম ভেতরে কোথাও।

তারপর দপ্‌ করে জ্বলে উঠল আবার...

উত্তাপ...

আঃ...

সেনজিৎ উঠল না। গান্ধারীর স্বপ্নে কখনও তার ঘুম ভাঙে না।

গান্ধারীর চোখে চোখ রাখতে পারে না সে। যেমন পারেননি ধৃতরাষ্ট্র। বা অন্য পুরুষ।

***


সে রাতেও গান্ধারীর চোখের পট্টবস্ত্র ভিজে গেছিল। হয়ত বা ঘামেই।

Thursday, July 14, 2016

Yellow and Orange and Dhaba

He was late, as usual. She was on time, as usual. They met in front of Stop Over in Ballygunge Phnari, for he could barely afford a trip to Dhaba, not on his weekly frugal pocket-money.

It was an autumn morning. She looked different in the salwar-kameez. He could not take his eyes off her arms.

Girls should not be allowed to wear anything other than school uniforms.

It would take an abrupt movement of her arm for the dupatta to slide down, he knew. He could not help but gaze at her bare arms with a longing so intense that it could stop time.

They did not meet in front of Kwality, where the entire gang met once a year, on Shoshthi. Kwality was for the world. Stop Over was theirs. Dhaba was sacrosanct.

The kameez was orange and yellow. The salwar was redundant.

It was about her arms, arms that would last only till the dupatta slid down as soon as she would do that adjustment thing girls do.

The dupatta rested dangerously on her shoulders.

They crossed Hazra Road, past that Arnica-Plus billboard, and went over to Dhaba.

That night he learned that dreams were not monochromatic. They sometimes came in bright shades of orange and yellow.

He had walked home that day, and the day after, till he could afford another day at Dhaba.

***

Dhaba, as he knew, had two sections: the non-AC ground floor, where three students shared one ‘side-dish’ with staples; the other, the air-conditioned first floor, where couples ordered soft drinks with their meals.

He had graduated from Stop Over to Dhaba, but not from non-AC to AC.

She had not graduated from orange and yellow. She never would. She never will.

They had graduated to sitting next to each other inside Dhaba. Sometimes he wished they had not. He got to see her eyes less. But there was her perfume, the tingling of something as she reached out...

Was it for real? Or did he imagine that tingling?

***

She snuggled up to his stubble. The waiters in Dhaba did not object. They had stopped noticing them for some time now.

He knew the waiters by name. She insisted they still used ‘please’ and ‘thank you’.

A rogue, he was. Orange and yellow, she was. Bright, very bright, even indoors.

***

They did not go to Dhaba that weekend. Or next weekend. Or the one after that. They had upgraded themselves.

The waiters did not notice that the weekends became less orange and less yellow.

Dhaba waited for them. Or she probably did not. She was probably too busy catering to others as one Kolkata evening followed another, as Kolkata walked by her.

They gave Dhaba a complete makeover one day. He and she did not get to know till they passed by one evening.

That Tuesday, when she did not feel like having home food, they decided to go back to Dhaba.

The waiters did not acknowledge him as when placed their order at the counter and waited outside. She did not insist they wait in the non-AC section.

I was wrong. They had gone to Dhaba. They had not gone back there.

***

He was logged on to Facebook when he noticed a share: Dhaba had closed down.

He tagged her. She tagged him back in the comments section with “memories.............,” followed by a sad-smiley.

Both of them hovered their cursors on the Like button, and clicked on the Sad icon. Then they went into a heated argument on Facebook, defending Dhabas authenticity as a dhaba furiously with lesser mortals.


And life went on. Just like that.

Followers