BANNER CREDITS: RITUPARNA CHATTERJEE
A woman with the potential to make it big. It is not that she cannot: she simply will not.
PHOTO CREDITS: ANIESHA BRAHMA
The closest anyone has come to being an adopted daughter.

Sunday, August 10, 2014

চিরকালের


বিভিন্ন লোকের চাপে পড়ে এই প্রতিযোগিতায় নাম দিয়েছিলাম। বলা বাহুল্য, কাঁচকলা জুটেছে। আজ দেখলাম, গল্পগুলো পড়ে পড়ে পচছে। একসঙ্গে তিনটে না ছেড়ে একটা একটা করে বাজারে ছাড়ি বরং।

***

ট্যাক্সি ধরলাম অফিসের সামনে থেকে। ক্লান্ত, তাই উঠেই সিটে শরীরটা এলিয়ে দিলাম। অনেক রাত হয়ে গেল আজ। হঠাৎ ড্রাইভারের সিটের পেছনে লেখা ট্যাক্সির নম্বরটা চোখে পড়তেই চমকে উঠলাম

এ তো আমার গাড়ির নম্বর! আমি চিৎকার করে ড্রাইভারের কাঁধ খামচে ধরে চোর! চোর!” বলে চিৎকার করে উঠলাম।

ড্রাইভার আমার দিকে ফিরে মুচকি হাসল। এবার আমার আরো চমকে যাওয়ার পালা। মনে হল যেন আয়না দেখছি হুবহু একই চেহারা, এমনকি পোষাক পর্যন্ত এক!

কে আপনি?” বাধ্য হয়ে জিজ্ঞেস করলাম।

আবার সেই গা-পিত্তি জ্বালানো হাসি। সামনে থেকে শুধু স্বর শুনতে পেলাম, “হ্যাঁ, আপনারই গাড়ি।আচ্ছা, আমি হাসলেও কি এতটাই অখাদ্য দেখতে লাগে?

আমি আবার চোর! চোর!” বলে চ্যাঁচালাম, কিন্তু লক্ষ্য করলাম যে বাইরের কারুর চোখে পড়ছে না; এমনকি চিৎকারও কারুর কানে যাচ্ছে না।

মোড়ে লালবাতি দেখে আশা জেগেছিল, কিন্তু তারপর চোখের সামনে সব সিগনাল আস্তে আস্তে নিভে গেল; রাস্তা ক্রমশঃ অন্ধকার হয়ে উঠল; লক্ষ্য করে দেখলাম চারপাশের গাড়িটাড়ি সব মিলিয়ে গেছে, কোনওরকম সাড়াশব্দ আসছে না আর; শুধু কয়েকটা ল্যাম্পপোস্ট টিমটিম করে জ্বলছে।

হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে এল। ট্যাক্সি কিন্তু দুর্নিবার গতিতে এগিয়ে চলেছে, আর সে যে কোথায় যাচ্ছে তার বিন্দুবিসর্গও বুঝে উঠতে পারছি না।

অনেক ঘুরেটুরে একটা গলিতে এসে ঢুকল। রাস্তায় আলো না থাকলে বুঝতেই পারতাম না যে গলিটা কানাট্যাক্সি কিন্তু নির্বিকার সে এগিয়ে চলেছে রাস্তার শেষের দেওয়ালটার দিকে

লাফিয়ে নামতে গিয়ে দেখলাম দরজা কোনও এক অজ্ঞাত কারণে বন্ধ। এমনকি জানালার কাঁচও নামানো অসম্ভব। স্পষ্ট বুঝতে পারছি ধাক্কা লাগলে মারাত্মক দুর্ঘটনা অনিবার্য, কিন্তু বোকার মত দেখা ছাড়া আর উপায় নেই।

সামনের সিটটা চেপে ধরলাম, কিন্তু চোখ সরাতে পারলাম না দেওয়ালটার থেকেট্যাক্সিটা এগোতে লাগল, একদম কাছে, তারপর... তারপর... ধাক্কা... অসম্ভব যন্ত্রণা...

***

পকেট থেকে লাইসেন্স আর ট্যাক্সির পারমিট বের করে মিলিয়ে দেখলামসব ঠিক আছে। স্টার্ট দিলাম। আজ দেড়হাজার টাকা না উঠলে কপালে দুঃখ আছে।

ঐ যে, সামনে প্যাসেঞ্জার।

নতুন প্যাসেঞ্জার উঠে (বোধহয় নম্বরটা দেখেই) আমার কাঁধ খামচে চোর! চোর!” বলে চিৎকার করে উঠল।

8 comments:

  1. If you are willing to add some embellishment, maybe you should give these to movie makers like Lynch

    ReplyDelete
  2. Ki bhalo! Bhuture goppo tao toh bhaloi lekhen apni! Anandabazar chhapeni keno!

    ReplyDelete
    Replies
    1. তা তো জানি না। আনন্দবাজার কর্তৃপক্ষ জানবেন সেসব।

      Delete
  3. ETA KABEKAR LEKHA? AGE PORECHHI BOLE MONE HAYNA.

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে, তারিখ দেওয়া আছে তো, আপনি উত্তেজিত হচ্ছেন কেন? :O

      Delete

Followers